Wednesday, April 11, 2012

স্থানীয় নির্বাচনে জাতীয় ইস্যু কাজে আসবে না: আশরাফ


Ashraf.jpg (300×200)আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, ‘‘ঢাকা সিটি কর্পোরেশন স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এখানে স্থানীয় ইস্যু নিয়েই নির্বাচনে নামতে হবে। জাতীয় ইস্যু নিয়ে স্থানীয় নির্বাচন করা হবে ব্যর্থ প্রয়াস।’’

বুধবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে প্রেস কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকার সংসদ সদস্যদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয়
কমিটির বৈঠক শেষে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

তিনি বলেন, ‘‘স্থানীয় নির্বাচনী ইস্যু দেখে ভোটাররা প্রার্থী পছন্দ করবেন। ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়েই নির্বাচন সফল হবে।’’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের প্রার্থী বাছাই করা বা মনোনয়ন দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। একমাত্র সমর্থন দেয়া ছাড়া আর কোনো কিছুরই আইনত সুযোগ নেই।’’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘প্রার্থী সমর্থন দিতে হবে ইনডিরেক্টলি। দলগতভাবে সরাসরি সমর্থন দেয়ার সুযোগও নেই।’’

আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘‘নির্বাচনে একাধিক প্রার্থী থাকবে এটাই স্বাভাবিক। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এটাই স্বাভাবিক।’’

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মতো ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনও সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘নারায়ণগঞ্জে শান্তিপুর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই চ্যালেঞ্জ ঢাকার জন্য।’’

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘রাজনীতিতে চমক বলে কিছু নেই। আর সিগনাল মেনে কাউকে সমর্থন দেয়া হবে না।’’

আগামী ২৫ মে ডিসিসি উত্তর এবং দক্ষিণ এর নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন উল্লেখ করে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘‘এবারই প্রথম ঢাকা উত্তর এবং ঢাকা দক্ষিণ এর নির্বাচন হবে। আশা করি এই নির্বাচনও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত অন্য নির্বাচনের মতো অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু হবে।’’

ডিসিসি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ ইলেকট্রনিক মেশিনে হবে আশাবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইভিএম নিয়ে জল্পনার অবসান হয়েছে। আমার বিশ্বাস এবারও ডিসিসি নির্বাচনেও নির্বাচন কমিশন ইভিএম ব্যবহার করবে।’’

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, বি এম মোজাম্মেল, উপ দফতর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ কে এম এনামুল হক শামীম, সুজিত রায় নন্দী, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ঢাকার সংসদ সদস্য আসলামুল হক ও সানজিদা খানম।

No comments:

Post a Comment