Wednesday, April 11, 2012

দুর্নীতির জন্য সুরঞ্জিতের পদত্যাগ চাইলেন ফখরুল


দুর্নীতির দায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আবারো পদত্যাগের আহবান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেনএপিএসের কাছে টাকা পাওয়ার দায় কেউ এড়াতে পারে না। এরজন্য রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত ও প্রধানমন্ত্রীরও পদত্যাগ করা উচিত।

বুধবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক
বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

বিদ্যুৎগ্যাস ও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে চারদলীয় জোট ও সমমনা দলগুলোর ঢাকা মহানগর শাখা এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাদেক হোসেন খোকা।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াজামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারবিজেপির মহাসচিব শামীম আল মামুনইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী প্রমুখ।

সমাবেশ থেকে কৃষি উপকরণের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী ২৫ এপ্রিল সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেন মির্জা আলমগীর।

তিনি বলেনএই সরকার ক্ষমতায় আসার পর দফায় দফায় বিদ্যুৎগ্যাস ও সব ধরনের জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়িয়েছে। এর পেছনে বড় রকমের দুর্নীতি আছে। দেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাটে স্থায়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন দরকার। সরকার তা না করে পরিত্যক্ত কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট বেশি দামে কিনছে। আর কুইক রেন্টালের কারণে ইতিমধ্যে ৮৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া হয়েছে। বছরে ২২ হাজার কোটি টাকা করে দিতে হবে। এসব কেন্দ্রের সবচেয়ে বেশি কাজ পেয়েছে সরকারের একজন মন্ত্রীর বড় ভাইর কোম্পানি সামিট গ্রুপ। এই একটি কোম্পানিকেই এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের কাজ দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেনকয়েক দিন আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তারা নতুন করে সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ করেছেন। অথচ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড হিসাব দিয়েছেমাত্র ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। বাকিগুলোতে উৎপাদন হচ্ছে না।

মির্জা আলমগীর বলেনদেশের লুটপাট বাড়নোর জন্য আরো নয়টি ব্যাংক অনুমোদন দিয়েছে। এগুলো সব দলীয় লোকেরা পেয়েছে। কোনো একজন ব্যবসায়ীকে ব্যাংক দেয়া হয়নি।

No comments:

Post a Comment