Thursday, April 12, 2012

জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেই মালয়েশিয়ার সঙ্গে পদ্মাচুক্তি: যোগাযোগমন্ত্রী


দুই দেশের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে মালয়েশিয়ার সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তি বা ফাইনাল এগ্রিমেন্ট যুক্তিযুক্ত সময়ে হবে বলে জানিয়েছেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সরকার টু সরকার এই চুক্তি হবে উল্লেখ করে তিনি আবারো বললেন, ‘‘আগামী ১০ মাসের মধ্যেই পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হবে।’’

মালেশিয়ায় যাবার আগে গত ৮ এপ্রিল সড়ক ভবনে তিনি জানিয়েছিলেন, আগামী ১০ মাসের মধ্যেই নির্মাণ শুরু করতে মালোয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে
সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) হবে। গত ৯ এপ্রিল মালেশিয়ার সঙ্গে এমওইউ স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ।

এমওইউ স্বাক্ষর শেষে মালেশিয়া থেকে ফিরে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘‘দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা মনে করি চূড়ান্ত চুক্তি হওয়ার বিষয়টি পজেটিভ। সমঝোতা স্বাক্ষরের পর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে, মালয়েশিয়া কনসোর্টিমিয়ামের মাধ্যমে সব ব্যয়ভার বহন করবে পদ্মা সেতু নির্মাণে। দুবাই থেকে দুটি কোম্পানির কাছ থেকে তারা অর্থায়ন করবে।’’

কি ধরনের সুদে কনসোর্টিয়ামের কাছ থেকে সুদ নেবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘‘সেটি তাদের ব্যাপার, আমরা চুক্তি করছি জি টু জি। বিল্ট অন অপারেট ট্রান্সফার (বিওওটি) ভিত্তিতে সেতু নির্মাণ হবে। তারা একটি নির্দিষ্ট সময়ে সেতু নির্মাণ করবে, নির্দিষ্ট সময়ের জন্য টোল নেবে।’’

কি পরিমাণ টোল নির্ধারণ করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘‘তা আলোচনা করে উভয় দেশের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে তা ঠিক করা হবে।’’

বিশ্বব্যাংকের চুক্তির বিষয়টি কি হবে এমন প্রশ্নের জবাবে যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘‘ইআরডি সচিবকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি বিষয়টি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।’’

অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন উল্লেখ করে যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘‘তাদের সঙ্গে (বিশ্বব্যাংক) আমাদের বৈরীতা নেই। তাদের সঙ্গে সমঝোতা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তা ছাড়া পদ্মা সেতু-২ তে অর্থায়ন স্থানান্তর করার বিষয়টিও হতে পারে।’’

চুক্তির মেয়াদ বর্ধিত করায় বিশ্বব্যাংককে ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘‘তাদের সঙ্গে আমাদের অনেক কাজ হচ্ছে। আমাদের জনগণতো দোষ করেনি। আপনারা তদন্ত করে আসুন। আমরা জনগণের কাছে ওয়াদা করেছি আমারা পদ্মা সেতু করবো। তাই আমরা বিকল্প অর্থায়নে যাচ্ছি। তা ছাড়া এটা এমওইউ চুক্তি।’’

২৯০ কোটি ডলারের ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংক ১২০ কোটি ডলার দেয়ার জন্য সরকারের সঙ্গে চুক্তি করলেও পরে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অর্থায়ন স্থগিত করে।

বিশ্ব ব্যাংকের পাশাপাশি এডিবি ৬১ কোটি, জাইকা ৪০ কোটি এবং ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক ১৪ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার জন্য সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেছে।

No comments:

Post a Comment