Thursday, April 12, 2012

তার মতো বিদগ্ধ ব্যক্তির ক্ষেত্রে এ ঘটনা ভাবা যায় না, সুরঞ্জিত প্রসঙ্গে হানিফ



সূত্রঃবার্তা২৪-
রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএসের গাড়িতে ৭০ লাখ টাকা পাওয়ার ঘটনায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুব-উল আলম হানিফ হানিফ বলেছেন, “একটি মানুষ যিনি সারাজীবন মানুষের জন্য রাজনীতি করেছেন, তার মতো এতো বিদগ্ধ ব্যক্তির ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনা
ঘটতে পারে এটা ভাবা যায় না।তিনি এই ঘটনাকে দুঃখজনকবলে উল্লেখ করেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন উত্তর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

হানিফ বলেন, ‘‘গত দুদিন আগের বিষয়টি পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বিষয়টি দুঃখজনক। সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে এটা আমরা বিশ্বাস করতে চাই না।’’

তবে এ বিষয়ে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করতে চাই নি। তিনি বলেন, ‘‘নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমেই বেরিয়ে আসবে কার টাকা, কিভাবে আসলো।’’

তদন্ত কমিটির স্বচ্ছতা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। তদন্ত কমিটি সঠিক না বেঠিক বলতে চাচ্ছি না।’’

আওয়ামী লীগের এই নেতা আরো বলেন, ‘‘প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে দলীয় ভাবে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।’’

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, ‘‘সুরঞ্জিতের এপিএসর ঘটনায় বিএনপির জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের আইনগত কোনো ভিত্তি নাই।’’

সুরঞ্জিতের এপিএস এর এই ঘটনা আসন্ন ডিসিসি নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা জানতে চাইলে হানিফ বলেন, ‘‘সাংবাদিকরা যদি নেগেটিভ কিছু না লেখে তাহলে তেমন একটা প্রভাব পড়বে না। পত্র-পত্রিকায় লেখা ছাড়া রাজনৈতিকভাবে প্রভাব পড়বে বলে আমার মনে হয় না।’’

উন্নত অনেক দেশে এমন ঘটনায় মন্ত্রী পদত্যাগ করে বাংলাদেশে এক্ষেত্রে কি হতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, ‘‘উন্নত দেশে অনেক কিছুই হয় যেটা আমাদের দেশে হয় না। পদত্যাগের বিষয়টি আমাদের দেশে নেতিবাচক দেখা হয়।’’

ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বৃহস্পতিবারে এই বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে হানিফ বলেন, ‘‘ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের থানা কমিটিকে বলা হয়েছে সৎ, যোগ্য, পরিশ্রমী ও শিক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী ঠিক করতে।’’

তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে স্ব স্ব থানার নেতাদের কাউন্সিলর প্রার্থী নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে।’’

হানিফ বলেন, ‘‘সংগঠনকে শক্তিশালী করতে থানা ইউনিট এবং ওয়ার্ড ইউনিটের সাংগঠনিক কার্যক্রম বাড়ানোর নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।’’

দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, উপ দফতর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজিত রায় নন্দী, এ কে এম এনামুল হক শামীম, নগর নেতাদের মধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ঢাকার সংসদ সদস্যদের মধ্যে আসলামুল হক আসলাম, ইলিয়াস মোল্লা, কামাল আহমেদ মজুমদার সহ ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।

No comments:

Post a Comment