পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানের জন্য ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন এলাকা নানা সংগঠনের নামে বরাদ্দ নিয়েছেন ছাত্রলীগের
কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতারা। এসব অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা ও বিজ্ঞাপন
প্রচারের জন্য বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কাছ
থেকে তারা নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়া অধিকাংশ ছাত্রলীগ নেতাই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য নানা সংগঠনের নামে আবেদন করেছিলেন।
প্রক্টর অফিসের তালিকা অনুযায়ী, পহেলা বৈশাখে ক্যাম্পাসে বড় কনসার্ট হবে তিনটি। তার মধ্যে জুম শোবিজের নামে মল চত্বরের বরাদ্দ পেয়েছেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফসহ কয়েকজন। এই কনসার্ট পৃষ্ঠপোষকতা করছে আকিজ গ্রুপ।
সোনার বাংলা শোবিজের নামে মুহসীন হল মাঠ পেয়েছেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মহিউদ্দীন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইহতিশাম রুমি ও উপ-সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ বাপ্পীসহ কয়েকজন। আর তিন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি জয়দেব নন্দী, নাজমুল হুদা চঞ্চল ও মহিউদ্দীন মাহীসহ আরও কয়েকজন মিলে তারণ সাংস্কৃতিক সংগঠনের নামে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ বরাদ্দ নিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়েল ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আমজাদ আলী জানান, মল চত্বর, মুহসীন হল মাঠ ও কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের জন্য আবেদন ছিল যথাক্রমে ৫, ৪ ও ৪টি। মল চত্বর ও মুহসীন হল মাঠের জন্য এক লাখ এবং কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের জন্য ২০ হাজার টাকা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ছাত্রলীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে এসব অনুষ্ঠান আয়োজন বা পৃষ্ঠপোষকতা বাবদে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ৫ থেকে ৪৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দিচ্ছে।
থেকে তারা নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়া অধিকাংশ ছাত্রলীগ নেতাই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য নানা সংগঠনের নামে আবেদন করেছিলেন।
প্রক্টর অফিসের তালিকা অনুযায়ী, পহেলা বৈশাখে ক্যাম্পাসে বড় কনসার্ট হবে তিনটি। তার মধ্যে জুম শোবিজের নামে মল চত্বরের বরাদ্দ পেয়েছেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফসহ কয়েকজন। এই কনসার্ট পৃষ্ঠপোষকতা করছে আকিজ গ্রুপ।
সোনার বাংলা শোবিজের নামে মুহসীন হল মাঠ পেয়েছেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মহিউদ্দীন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইহতিশাম রুমি ও উপ-সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ বাপ্পীসহ কয়েকজন। আর তিন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি জয়দেব নন্দী, নাজমুল হুদা চঞ্চল ও মহিউদ্দীন মাহীসহ আরও কয়েকজন মিলে তারণ সাংস্কৃতিক সংগঠনের নামে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ বরাদ্দ নিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়েল ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আমজাদ আলী জানান, মল চত্বর, মুহসীন হল মাঠ ও কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের জন্য আবেদন ছিল যথাক্রমে ৫, ৪ ও ৪টি। মল চত্বর ও মুহসীন হল মাঠের জন্য এক লাখ এবং কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের জন্য ২০ হাজার টাকা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ছাত্রলীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে এসব অনুষ্ঠান আয়োজন বা পৃষ্ঠপোষকতা বাবদে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ৫ থেকে ৪৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দিচ্ছে।
বৈশাখ উপলক্ষে ক্যাম্পাসে ‘সাজসজ্জা’ করার কাজ পেয়েছে তিনটি প্রতিষ্ঠান। কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান তারেকের প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল অ্যাড, সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান রুবেলের স্পেক্ট্রা কালার এবং পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগের সোনার তরী শোবিজ এ কাজ করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান পাঁচটি ফটকে অস্থায়ী তোরণ নির্মাণের কাজ পেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তবাণ সাংস্কৃতিক সংসদ। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান জীবনের সংগঠনকে এই আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে আকিজ গ্র“প।
হাকিম চত্বরে ইন্টারনেট মেলা করার অনুমতি পেয়েছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী এনায়েতের সংগঠন বাংলা শোবিজ। আর দলের সাবেক সহ-সভাপতি ফজলুর রহমানের ডিজাইন ডেভেলপার টিএসসিতে অস্থায়ী টাওয়ার বসানোর অনুমতি পেয়েছে।
এছাড়া ক্যাম্পাসে ডাস্টবিন বসানোর অনুমতি পেয়েছে মধুমতি শোবিজ নামের আরেকটি সংগঠন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ কলা ভবনের সামনে; সঙ্গীত বিভাগ কলাভবনের বটতলায়; কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর ও দর্শন বিভাগ আমতলায় এবং খেলাঘর ঢাকা মহানগর শাখা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠান করার অনুমতি পেয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, “পহেলা বৈশাখে ক্যাম্পাসে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি ঢাকা শহরের সাধারণ মানুষের সম্মিলন ঘটে। সে দিকটি বিবেচনায় রেখে আমরা বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের পরিচালিত বিভিন্ন সংগঠনকে বরাদ্দ দিয়ে থাকি।”
“যারা আবেদন করেন, তাদের মধ্য থেকেই অনুমোদন দেন প্রক্টর”, বলেন উপাচার্য।
কোন যোগ্যতার ভিত্তিতে এই বরাদ্দ দেওয়া হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, “যেসব সংগঠন আসে তাদের অধিকাংশই পহেলা বৈশাখকেন্দ্রিক সংগঠন। তাদের আগ্রহের ভিত্তিতে এবং যাচাই-বাছাই করে বরাদ্দ দেওয়া হয়। তারা স্পন্সর যোগাড় করে নির্দিষ্ট ইভেন্ট আয়োজন করে।”
অবশ্য বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনগুলোর সঙ্গে ছাত্রলীগের সরাসরি সংশ্লিষ্টতা মানতে রাজি নন ক্ষমতাসীন দলের এই সহযোগী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ছাত্রলীগের কেউ ব্যক্তিগতভাবে কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন করলে সে বিষয়ে আমাদের বক্তব্য নেই।”
“এটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিষয়, তারা শিক্ষার্থীদেরকে অনুষ্ঠান করতে দিচ্ছে। প্রথমে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, পরে আমাদের নেতাকর্মী”, যোগ করেন তিনি।
No comments:
Post a Comment