প্রতিদিন ২৪ ডেস্ক
নীলফামারীর
জলঢাকা উপজেলা স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদফতরের ফিল্ড সুপারভাইজার ও উপজেলা
পরিষদের গাড়িচালক পদে দলীয় প্রার্থীকে না নেয়ায় গতকাল ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা
অফিস ভাঙচুর ও দুই কর্মকর্তাকে মারধর ও লাঞ্ছিত করেছে।
স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদফতর জলঢাকা অফিসের পাঁচটি ফিল্ড সুপারভাইজার পদে শুক্রবার ও জলঢাকা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের
গাড়িচালক পদে শনিবার লিখিত পরীৰা অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিনই লিখিত পরীৰার
ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে সরকারদলীয় লোকজনের নাম না থাকায় গতকাল সকালে
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বাহাদুরের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের
নেতাকর্মী উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। নিয়োগ পরীৰা স্বচ্ছ হয়নি
এ অভিযোগে দুপুর ১২টায় তারা স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল কার্যালয় এবং উপজেলা খাদ্য
নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। এ সময় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল জলিল মণ্ডল
বাধা দিলে তাকে বেদম মারদর করা হয়। এ ছাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মতিয়ার রহমানকে লাঞ্ছিত
করা হয়। গুরম্নতর আহত অবস্থায় আব্দূল জলিল মণ্ডলকে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে
ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। উপজেলা চত্বরে অতিরিক্ত
পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদফতর জলঢাকা অফিসের পাঁচটি ফিল্ড সুপারভাইজার পদে শুক্রবার ও জলঢাকা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের
এ ব্যাপারে জলঢাকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আলী জানান, বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এতে সরকারদলীয় প্রার্থী বাদ পড়ায় তারা ৰিপ্ত হয়ে ভাঙচুর ও কর্মকর্তাদের মারধর করেছে। এ ব্যাপারে জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারোয়ার হোসেন কোনো মনৱব্য করতে রাজি হননি।
No comments:
Post a Comment