প্রতিদিন ২৪ ডেস্ক
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলকে ঈঙ্গিত করে বলেছেন, ‘‘যারা পরাজিত শক্তির কাছ থেকে টাকা খায় তাদের সর্ম্পকে দেশবাসীকে সাবধান থাকতে হবে।’’ তিনি
বলেন, ‘‘অন্তত এটুকু আমরা বলতে পারি, বিএনপির আমল ছিল বোমাবাজি, দুর্নীতি আর গ্রেনেড হামলার। তত্ত্বাবধায়ক আমলে ছিল আতঙ্ক। আওয়ামী লীগ আমলে একটা সুষ্ঠু পরিবেশ এসেছে।’’
সোমবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘২০২১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে চাই। বাংলাদেশ এভাবে দরিদ্র থাকবে না।’’
তিনি বলেন, ‘‘উড়ে এসে জুড়ে বসা, হত্যা কু ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে পরাজিত শক্তির কাছে যারা টাকা খায় তাদের জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধ থাকে না।’’
প্রধানমন্ত্রী জাতীয় উন্নয়নের অন্তরায় হিসেবে এসব শক্তিতে দায়ী করে বলেন, ‘‘স্বাধীনতার ৪০ বছরের অধিকাংশ সময় ক্ষমতায় তো তারা। বাকি সময় যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা দেশকে কি দিলো, কতটুকু দিলো, এটাও জনগণকে ভেবে দেখতে হবে।’’
শেখ হাসিনা বিরোধী দলের প্রতি অভিযোগ করে বলেন, ‘‘আমাদের বিরোধীদলের যন্ত্রণাটা বুঝি। ক্ষমতায় থেকে মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলেছে তারা। দেশকে বোমাবাজির দেশে পরিণত করেছে।’’
তিনি এসময় খালেদা জিয়ার প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে বলেন,‘ভাঙা সুটকেস ছেড়া গেঞ্জির মালিকের বাড়ি ঘর, ঝাড়বাতি, ইটালিয়ান কার্পেট পর্দা কোথা থেকে আসলো? শুনলাম জিয়াউর রহমান নাকি ভাঙা সুটকেস আর ছেড়া গেঞ্জি থুয়ে গেছে। এসব আসে কোত্থেকে, চোরাই টাকা ছাড়া?’’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন,‘‘সম্পত্তি তো অঢেল তাই হিসাবও দিতে পারেননি। সেই কারণে অন্তর্জ্বালা হচ্ছে আরো টাকা খাওয়ার সুযোগ হারাচ্ছে বলেই তো মনে কষ্ট।’’
তিনি বলেন,‘ উনাদের থলের বেড়াল তো বেরিয়ে গেছে।
যারা আমাদেরকে আক্রমণ করেছে, তাদের সহায়ক শক্তি যারা ছিল, তাদেরকে রক্ষা করতে উনি মাঠে নেমেছেন। যে শক্তিতে পরাজিত করলাম সেই হানাদার বাহিনী, সেই পরাজিত শক্তির কাছে টাকা খাওয়ার চেয়ে লজ্জার আর কি হতে পারে।’’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘উনাদের মতো তৈরি করে বলার অভ্যাস আমাদের নাই। আমাদের লক্ষ্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ে তোলা।’’
তিনি সরকারের ইতিবাচক দিক তুলে ধরে জনমত গড়ে তোলার আহবান জানান দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি।
মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম উপস্থিত ছিলেন।
No comments:
Post a Comment