প্রতিদিন ২৪ ডেস্ক
আগামী মে’র ২৩ তারিখে বিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) দুই অংশের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় কাজ এগিয়ে নিচ্ছে নতুন কমিশন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নির্বাচন কমিশনার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘‘দায়িত্ব গ্রহণের পর নতুন কমিশনের সবচেয়ে বড় কাজ হবে ডিসিসি নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠান করা। এ কাজকে আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিচ্ছি। সব কিছু ঠিক মতো এগিয়ে চললে ২৩ মে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। পরিকল্পনামাফিক কমিশন তার কাজ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘মে’র ২০ তারিখে দেশব্যাপী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হবে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর হাতে দুই দিন সময় থাকবে। এ সময়ের মধ্যে আমরা কেনদ্রগুলোকে ভোটগ্রহণের প্রস্তুত করব। সব বিবেচনা করে ২৩ তারিখে ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। ভয় নেই, সময় মতো ভোট হবে।’’
আর এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে এপ্রিলের ১৩ থেকে ১৭ তারিখের মধ্যে। তফসিল ঘোষণার পর পর ভোটগ্রহণের জন্য জন্য ইসির হাতে কমবেশি প্রায় ৩৫ দিন থাকবে।
এদিকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয় সূত্র এ তথ্যের সত্যতা স্বীকার করেছে। কমিশনের সর্বশেষ বৈঠকে ডিসিসি নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন তারিখ সম্পর্কে বিশদ আলোচনা হয়েছে।
ইসির সিনিয়র সহকারী সচিব ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘‘চলতি মাসের ১৫ থেকে ১৭ তারিখের মধ্যে ডিসিসি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে। ইতোমধ্যে তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।’’
ইসি সচিবালয়ের আইন শাখা থেকে জানা যায়, তফসিল ঘোষণার পর পরই অবৈধ প্রচার, প্রচারণা, পোস্টার ও ব্যানার তুলে নেয়া না হলে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া শুরু করবে কমিশন।
ডিসিসি নির্বাচনের ভোটগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি যেমন, প্যাড, সিল, রাবার, কালি, ভোটার তালিকা, ইভিএম, কেন্দ্র বাছাই ও ব্যবস্থা, ভোটবাক্স ইত্যাদি সংগ্রহের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানায় কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার জাবেদ আলী বলেন, ‘‘কমিশন তার দায়িত্ব ভালভাবেই পালন করে যাচ্ছে। আইন অনুযায়ী যথাসময়ে যথা কাজটি আমরা সম্পাদন করব। আইনের বাইরে কোনো কাজ আমরা করবো না।’’
নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেন, ‘‘ডিসিসির তফসিল প্রস্তুত। সময় মতো ঘোষণা হবে। নির্বাচন করলে এপ্রিলের মধ্যে তফসিল আর মে’র মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। আইন অনুযায়ী ইসি ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে বাধ্য।’’
No comments:
Post a Comment