প্রতিদিন ২৪ ডেস্ক
বিএনপির চেয়ারপারসন ও
বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া প্রয়োজনে একদফা আন্দোলনে যেতে সার্বিক
প্রস্তুতি গ্রহণ করতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
রোববার
সকাল সোয়া ১১টায় রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের
মুক্তিযোদ্ধা মিলনায়তনে দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠকে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ
আহবান জানান।
খালেদা
জিয়া বলেন, “প্রয়োজনে সরকার পতনের এক
দফা আন্দোলনেও আমাদের যেতে হতে পারে। এ নিয়ে আপনাদের কাছ থেকে সুচিন্তিত
মতামত আসতে হবে। বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও
কর্মকর্তা হিসেবে আপনাদের বক্তব্য ও মতামত যেন দলকে শক্তিশালী করতে এবং আগামী
দিনের কর্মসূচি নির্ণয়ে সহায়ক হয় সে দিকে সবাইকে সচেতন থাকার জন্য আমি আহবান
জানাচ্ছি।”
তিনি
বলেন, “আন্দোলনকে ধাপে ধাপে
সামনে অগ্রসর করে নিয়ে যেতে হয়। এর জন্য গ্রহণ করতে হয় সুপরিকল্পিত
কর্মসূচি। এর
সঙ্গে যুক্ত করতে হয় ব্যাপক জনসাধারণকে। সেই কৌশলগুলো নিয়ে আজকের এই সভায়
আপনাদেরকে আলোচনা করতে হবে, মতামত দিতে হবে।”
খালেদা
বলেন, “তবে সবকিছু করার আগে
প্রয়োজন সংগঠনকে শক্তিশালী করা। নিজেদের ভেতরকার ঐক্যকে আরো সুদৃঢ় করা। দলকে আধুনিক, প্রযুক্তি নির্ভর ও আরো ব্যাপকভাবে
গণমুখী করা। এ
ব্যাপারেও আপনাদের সুনির্দিষ্ট বক্তব্য রাখতে হবে।”
বিএনপি
চেয়ারপারসন বলেন, “আগামী ১০ জুনের মধ্যে
নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকরের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের
বিধান করে জাতীয় সংসদে বিল পাশ করার দাবিতে সরকারকে আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। এরপর ১১ জুন ঢাকায়
সমাবেশ হবে। বেঁধে
দেয়া সময়সীমার মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নেয়া না হলে ওই সমাবেশ থেকে সরকারকে বাধ্য
করার লক্ষ্যে কর্মসূচি ঘোষণা করতে হবে।”
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী
বলেন, “জনগণের অগ্রসর অংশ
হিসেবে দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনারা জানেন। এই অবস্থা থেকে দেশকে
বাঁচাতে হবে। দেশের
মানুষকে রক্ষা করতে হবে।”
খালেদা
বলেন, “দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, জাতীয় স্বার্থ, জনগণের অধিকার, তাদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত
করতে হবে। তাদের
ভোটের অধিকার রক্ষা করতে হবে। এজন্য সংগ্রাম ও প্রতিরোধের কোনো
বিকল্প নেই। জনগণকে
সংঘবদ্ধ করে সেই সংগ্রামে তাদেরকে সামিল করার এবং নেতৃত্ব দেয়ার ঐতিহাসিক দায়িত্ব
আজ আবার বিএনপি’র ওপর এসে পড়েছে।”
No comments:
Post a Comment