প্রতিদিন ২৪ ডেস্ক
রোববার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারক নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
এর আগে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনে রাষ্ট্রপক্ষ তাদের বক্তব্য উপস্থাপন শেষ করে। পরে ট্রাইব্যুনাল আসামি পক্ষের বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য ২৭ মার্চ দিন ধার্য করে দেন।
রোববার সকালে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হলে আসামিপক্ষের আইনজীবী মুন্সি আহসান করিম তাদের আরেক আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম উপস্থিত না থাকায় সময় চেয়ে আবেদন করেন। তখন ট্রাইব্যুনাল ৮ এপ্রিল দিন ধার্য করে দেন।
এর আগে মতিউর রহমান নিজামীকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এর আগে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী বলেন, “আসামি মতিউর রহমান নিজামী মুক্তিযুদ্ধকালীন দেশের চারটি স্থানে বক্তৃতার মাধ্যমে আল-বদর, আল-শামস বাহিনীকে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের জন্য উস্কে দিয়েছেন।”
তিনি বলেন, “নিজামী মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বিভিন্ন স্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনে উস্কানি ও নির্দেশ দিয়ে বক্তব্য দেন। তার বক্তব্যে প্রভাবিত হয়ে তার অনুসারীরা পাক হানাদার বাহিনীর সহযোগী বাহিনী হয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করেছেন। এমনকি কোনো কোনো জায়গায় তিনি নিজেই উপস্থিত ছিলেন। নিজামীর উপস্থিতিতেই মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
জামায়াতের এ শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে মোট ১৫টি ঘটনা ৭৩ পৃষ্ঠায় সুনিদির্ষ্ট অভিযোগ প্রসিকিউটশন ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করে।
গত ৯ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমালচার্জ) আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল।
নিজামীকে ২০১০ সালের ২৯ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত সংক্রান্ত একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালের আদেশে আটক দেখানো হয়।
No comments:
Post a Comment