টাকার বিনিময়ে ছাত্রলীগের
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের বিভিন্ন থানার কমিটি গঠন ও চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এমনকি বিবাহিত নেতারা ঠাঁই পাচ্ছে কমিটিতে। নির্বাচন ছাড়াই থানা কমিটি অনুমোদনের
অভিযোগসহ পদবি ব্যবহার করে এলাকায় চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে
তাদের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের
চকবাজার, সুত্রাপুর, লালবাগ ও
কামরাঙ্গীরচর এলাকার থানা কমিটি গঠনে বিপুল অংকের টাকা লেনদেন হয়েছে। চকবাজার
থানা ছাত্রলীগের কমিটি
নির্বাচন ছাড়াই অনুমোদন দেয়া হয়েছে ১৮ মার্চ। সভাপতি
জামান শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ মাহমুদ লিটন। সভাপতির ছাত্রত্ব থাকলেও
সাধারণ সম্পাদকের ছাত্রত্ব নেই। চকবাজার থানা
ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা হলেও তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে চারটি ওয়ার্ডের সভাপতি ও
সাধারণ সম্পাদকেরা। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বরাবর তাদের
আপত্তি জানিয়েছে তারা।
আরো জানা যায়, লিটন বিবাহিত। তারপরও
তাকে কেবল অর্থের বিনিময়ে কমিটির সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। ৬৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বলেন, ‘‘অছাত্র-ব্যবসায়ী ও বিবাহিতদের হাতে ছাত্রলীগের তৃণমূলের নেতৃত্ব
গেলে বিপর্যয় অনিবার্য।’’
এদিকে পদবি ব্যবহার করে রিয়াজ
মাহমুদ লিটনের বিরুদ্ধে চকবাজারে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। মাদক ব্যবসায়ের
অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু সুমন ওরফে লোহা সুমন, মোটা শরীফ ও রাজুর
দখলে রয়েছে টেম্পু স্ট্যান্ড। অভিযোগ প্রসঙ্গে লিটন বলেন, ‘‘যা বলা হচ্ছে, তার কোনো ভিত্তি নেই।’’
লালবাগ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি
নূর আলম জিকু ও সাধারণ সম্পাদক হানিফ রেজা। সাধারণ সম্পাদক হানিফ রেজার বিরুদ্ধে
আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড এবং পলাশী বাজার থেকে ছাত্রলীগের ছেলেদের দিয়ে মাসিক চাঁদা
ওঠানোর অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্ত হানিফ রেজা বলেন, ‘‘এরকম কোনো অভিযোগের প্রমাণ এলে
আমি রাজনীতি থেকে বিদায় নেব।’’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৬৫ নম্বর
ওয়ার্ড ছাত্রলীগের এক নেতা জানান, কমিটিগুলো টাকার বিনিময়ে ঘোষণা করেছেন ঢাকা
মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ
আনিসুজ্জামান রানা। চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য পাঁচ লাখ
টাকা লেনদেন হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের
সাধারণ সম্পাদক শেখ আনিসুজ্জামান রানা বলেন, ‘‘এরকম অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। নিয়ম অনুযায়ী কমিটি হয়েছে।
ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এমন প্রচারণা চলছে।’’
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয়
কমিটির দফতর সম্পাদক শেখ রাসেল বলেন, ‘‘নিয়ম মেনেই মহানগরীর বিভিন্ন কমিটি তৈরি
হচ্ছে। ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের চেষ্টা করছি। তারপরও কোনো অভিযোগ আসলে
আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব। সূত্রঃ বার্তা২৪
No comments:
Post a Comment