আজ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেবে
যুবলীগ সমর্থিত যুব সংগ্রাম পরিষদ। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আয়োজিত এই যুব গণ
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ছাত্রদের নিয়ে যাওয়ার জন্য রাতে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক
হলে ব্যাপক তৎপরতা চালাতে দেখা গেল ছাত্রলীগকে।যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জাতীয় সংসদের হুইপ মির্জা আজমের ভাষ্য অনুযায়ী, পাঁচ লক্ষেরও বেশি লোক থাকবে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে। সমুদ্র সীমা জয়ের অভিবাদন জানাতে শেখ হাসিনাকে এই সংবর্ধনা দেয়া হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি আবাসিক হলের একটি জিয়াউর রহমান হল। মঙ্গলবার রাত এগারোটার দিকে জিয়া হলের বিভিন্ন কক্ষে যেয়ে ছাত্রলীগের ছেলেরা প্রথম বর্ষ থেকে তৃতীয় বর্ষের ছেলেদের খুঁজছিল। কারণ, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের প্রোগামে আসন ভরাতে তাদের যেতে হবে।
প্রায় একই অবস্থা দেখা গেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হলেও। আজকের অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের আসন সংখ্যা ভর্তি করতে ইতোমধ্যে যুবলীগের চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং মির্জা আজম ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তাদের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াও দলের নেতাকর্মীদের সদলবলে বুধবারের অনুষ্ঠানে আসার আহবান জানিয়েছেন।
এরপরও লোকসমাগম নিশ্চিত করতে যুবলীগের উদ্যোগে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাকে করে মাইকিং করা হয়েছে। মোহাম্মদপুরের অধিবাসী ফাহিম হোসেন মাজনুন বলছিলেন, “মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুর এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে, বুধবারের অনুষ্ঠানে দলে দলে যোগ দেয়ার জন্য।”
অভিযোগ পাওয়া গেছে, যুবলীগের টার্গেট পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ দেখাতে মরিয়া ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে জোর করে শিক্ষার্থীদের স্টেডিয়ামে নিয়ে যাবে। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল থেকে শিক্ষার্থীদের জোর করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যাওয়া জন্য।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোল্লা মেহেদী হাসান জানান, “তিনি এখনই খোঁজ নিচ্ছেন।”
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগের মতামত জানতে চেয়ে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
অভিযোগ রয়েছে, হল থেকে এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে যুবলীগের কর্মসূচিতে ছাত্র নিয়ে যাওয়ার বিনিময়ে ছাত্রলীগ মোটা অংকের টাকা পেয়ে থাকে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল পর্যায়ের নেতারা এই টাকার ভাগ পান।
No comments:
Post a Comment