খুলনায় চড়ক
পূজায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ননী গোপাল মণ্ডলকে অতিথি না করায় তার
হাতে দাকোপ উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জয়ন্তী রানী সরদার লাঞ্ছিত হয়েছেন। এ
ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় সংসদ
সদস্য, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ
১০-১৫ জন আহত হয়।
ঘটনার সময় ক্ষুব্ধ আওয়ামী নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী সংসদ সদস্যকে ঝাড়ুপেটা করেছে।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। গতকাল বিকালে
শিংজলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দাকোপ উপজেলার শিংজলা গ্রামের মণ্ডলবাড়ির শিবমন্দিরে গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টায় পূর্বনির্ধারিত চড়ক পূজার অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকার কথা ছিল জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক শেখ হারুনুর রশিদের। তিনি উপস্থিত না হওয়ায় তার সমর্থক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেত্রী জয়ন্তী রানী সরদার পূজা মণ্ডপের মঞ্চে উপস্থিত হন। এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ননী গোপাল মণ্ডল তাকে কেন অতিথি করা হয়নি তা তার কাছে জানতে চান। এ নিয়ে প্রথমে দু’জনের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। একপর্যায়ে সংসদ সদস্য ননী গোপাল মণ্ডল তাকে চড়, থাপ্পড় ও লাথি মারে। এ সময় আওয়ামী লীগের মহিলা কর্মীসহ ক্ষিপ্ত লোকজন সংসদ সদস্য ননী গোপাল মণ্ডলকে ঝাড়ুপেটা করে। একপর্যায়ে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংসদ সদস্য ননী গোপাল মণ্ডল অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ প্রহরায় স্থান ত্যাগ করে পার্শ্ববর্তী ওয়াপদা বেড়িবাঁধে পুলিশ বেষ্টনীর ভেতর অপেক্ষা করতে থাকেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ঝাড়ু ও জুতা নিয়ে মিছিল করে তাকে ঘিরে রাখেন। সংঘর্ষে সংসদ সদস্য ননী গোপাল মণ্ডল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জয়ন্তী রানী সরদার ও দাকোপ থানার এএসআই ওয়াহিদসহ ১০-১৫ জন আহত হন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এ সময় ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে।
No comments:
Post a Comment