Thursday, April 19, 2012

হরতালকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি


প্রতিদিন ২৪ ডেস্ক
 মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় হরতালকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে পথচারিসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।


পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, হরতাল চলাকালে একটি মুদি দোকান খোলাকে কেন্দ্র করেই এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। হরতাল সমর্থনকারী ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত ব্যবসায়ী এবং একাধিক নেতাকর্মীরা এই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এই সময় বড়লেখা স্টেশন হাজিগঞ্জ বাজার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। দফায় দফায় একে অপরের উপর ইট-পাটকেল বৃষ্টির মতো ছুঁড়তে থাকে। এক পর্যায়ে হরতাল সমর্থনকারীদের ধাওয়া খেয়ে ইউনিয়ন অফিসে গিয়ে আশ্রয় নেয়। তখন সেখানেও উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ৬নং বড়লেখা ইউনিয়ন অফিসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। হরতাল সমর্থককারীরা অভিযোগ করেছেন, ইউপি চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা এক্যবদ্ধ হয়ে সংঘর্ষ চালায়। বেলা ১২টা থেকে প্রায় ২টা পর্যন্ত দফায় দয়ায় সংঘর্ষ চলতে থাকে। এই সময় পথচারিসহ প্রায় ৩৫ জন আহত হয়েছেন। হরতাল সমর্থককারী আহতরা হলেন,আলীম উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম টুকন,জসিম উদ্দিন, ইসলাম উদ্দিন।

এদিকে পুলিশ সংঘর্ষ থামাতে ব্যর্থ হলে ইউএনও বড়লেখা ষ্টেশন হাজিগঞ্জ বাজার এলাকায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বর্তমানে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ দুই জনকে আটক করেছে বলে জানিয়েছে। তবে জেলার অন্য কোনো স্থানে অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সকাল সন্ধ্যা হরতাল পালিত হয়েছে। হরতাল চলাকালে শহরের সবকটি দোকান-পাট বন্ধ থাকে। সকাল নয়টার পর জেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। শহর প্রদক্ষিণের পর চৌমুহনা চত্তরে এক বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি ইলিয়াস আলীর অবস্থান সরকারকে স্পষ্ট করার দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ফয়জুল করিম ময়ূন, মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, মোশারফ হোসেন বাদশা,মিজানুর রহমান মিজান, মতিন বক্স,বকসি জুবের আহমদ, এম এ রশীদ, মুহিতুর রহমান হেলাল, শরওয়ান আহমদ,মাহমুদুর রহমান,স্বাগত কিশোর দাস প্রমুখ।

মৌলভীবাজারের শহরের মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এদিকে হরতাল চলাকালে  শহরে বিচ্ছিন্নভাবে রিকশা অটোরিকশা চলাচল করেছে। তবে বাসস্ট্যান্ড থেকে দূরপাল্লার কোনো যানবাহন ছেড়ে যায়নি। এদিকে শহরের বেড়ীরপাড়ে দুইটি সিএনজি ভাংচুরের খবর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

No comments:

Post a Comment